আপনার অগোচরেই আপনি পিছিয়ে পড়ছেন না তো?
অহেতুক দেরি নয়ঃ করতে যেটি হবেই, সেটির ব্যাপারে কোনও অবহেলা নয়। গড়িমসি করে অহেতুক সময় অপচয় থেকে বেরিয়ে আসুন। পাশাপাশি দাঁড়ানো দুই বন্ধু একই কাজে অগ্রসর হলেও একজন আরেক জনকে ছাড়িয়ে যায়। এর কারণ মূলত একটাই; একজন দেরি না করেই শুরু করে দেয়, আরেকজন এটা-সেটার পর শুরু করতে হাত লাগায়! আপাত দৃষ্টিতে "দুই জনই তো করছে" মনে হলেও পার্থক্যটা খুব সহজেই অনুমেয়, তার পরও বলা যায়- "আগের জন একটু আগে ভাগে পাবেই"!!
ঘুম থেকে কেবল উঠলামঃ কেবল ঘুম থেকে উঠলেন বলেই যে কাজটা একটু দেরিতে শুরু করবেন- এমনটা করা সত্যিই মারাত্মক রোগ। ভাবুন তো- "ট্রেন ধরতে হবে কিংবা পরীক্ষা শুরু হতে আর মাত্র ১০ মিনিট বাকি" আর ওদিকে ঘুম থেকেই উঠেছেন বলে কি ধীরে ধীরে চলবেন? ট্রেন মিস হলে বাসে যাওয়া যাবে; পরীক্ষা মিস হলে সামনের বছর আবার দেওয়া যাবে, কিন্তু জীবনের ট্রেন? সুযোগটা হাতছাড়া হলে কিন্তু চোখের পানিকেই সম্বল করে কাটাতে হবে বাকিটা জীবন। তাই যতদ্রুত পারা যায়- সুযোগ ছিনিয়ে নেওয়াটাই মঙ্গল!
অমুক তমুকের অজুহাত দেওয়াঃ অমুকের-তমুকের কথা ত্যাগ করুন। অমুক তমুকের কথা বলে নিজের সময় অপচয় করবেন না। অমুক কী করলো, তার কোন মামা খালু কী করে দিয়েছে কিংবা কী দেয়নি- তাতে আপনার কি আসে যায়! শুনতে কর্কশ শুনালেও মনে রাখা ভালো- "আপনি নিজেকে যেমনিভাবে গড়বেন তার প্রতিটি বিন্দুর ফল শুধুমাত্র আপনিই পাবেন"! তাই অমুক তমুকের কথা ত্যাগ করুন। চেষ্টা করুন নিজের মতো হতে, ফলটা তখন আপনার হাতেই শোভা পাবে।
ঘুম কাতুরেঃ ঘুমোবেন তবে ঘুমটা যেন হয় ঘুমের প্রয়োজনেই! ছুটি তাই ঘুমাই- সুলভ অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসুন। প্রয়োজনের তাগিদে যেমন ঘুম প্রয়োজন, তেমনি ভাবেই মাঝে মধ্যেই খানিকটা ঘুম ত্যাগ করাটাও প্রয়োজনের তাগিদে। সফলতার পানের রাস্তা শুধু ঘুমে-মোড়া রাত কিংবা অবসরে দিন যাপন নয়, এখানে রয়েছে নির্ঘুম রাত- আছে অবসরহীন একেকটি ক্লান্ত দিন।
মূল কথা হলো, নিজেকে তৈরি করুন এমন সব ইস্পাত শক্ত ধারায়, যেন ঝড় যেমনই আসুক- আপনার ভিতটা যেন থাকে শক্ত অটুট। নইলে আরামের দেহ আর দুর্বল মন— আপনার স্বপ্নভঙ্গের জন্য এই দুটিই হবে যথেষ্ট!
No comments