“আপনার সবচেয়ে দামি জিনিসটার যত্ন নিন”
আপনাকে কত টাকা দিলে আপনার হাত দুটো কেটে কাউকে দিয়ে দিবেন? কত টাকা দিলে পা দুটো দিয়ে দিবেন? কত টাকা দিলে আপনার হার্টটা কাউকে দিয়ে দিবেন? কত টাকা পেলে কাকে আপনার দুটো চোখ দিয়ে দিবেন? আপনার কিডনি দুটো, আপনার ফুসফুস, লিভার ইত্যাদি
আর আপনার মাথা------?
আপনি বলবেন এসব অমূল্য, কোন টাকার অংকে এসবের মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। এগুলো কোন কিছুর বিনিময়েই বিনিময় করা সম্ভব নয়। কারণ এগুলোই সবচেয়ে দামি।
ঠিক বলেছেন, আপনার শরীর, আপনার সুস্থতাই পৃথিবীতে সবচেয়ে দামি জিনিস। এটাই সত্যি। আপনি যদি সুস্থই না থাকেন কি হবে আপনার নাম খ্যাতি, টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ি এসব দিয়ে। আপনিতো এসবের কোন কিছুই উপভোগ করতে পারবেন না। তাই আপনার শরীর ও সুস্থতাই সবচেয়ে দামি। তাহলে আপনার এই দামি জিনিসটার যত্নও আপনাকেই নিতে হবে। তা না হলে আপনার জয়ের পথে এটা বাধা হয়ে দাড়াবে। বিভিন্ন সময়ে অসুস্থ হয়ে আপনাকে বিছানায় সময় কাটাতে হবে। আপনার কাজ করার সময় কমে যাবে। আপনি জীবনে পিছিয়ে পড়বেন। তাই একটু নিয়ম মানুন আর অনেক বেশী ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
যে নিয়মগুলো মেনে চলবেন তা হলঃ
তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান, তাড়াতাড়ি বিছানা ছাড়ুন, কমপক্ষে ছয় ঘন্টা ঘুমান, কিন্তু আট ঘন্টার বেশী কোনভাবেই নয়।
প্রতিদিন কম করে হলেও তিন লিটার পানি পান করুন। এটার সহজ উপায় হল জাগ্রত অবস্থায় প্রতি ঘন্টায় এক গ্লাস পানি পান করুন।
যতটুকু ক্ষুধা আছে তার থেকে একটু কম খান। মানে পেট একটু খালি রেখেই খাবার শেষ করুন।
খাবারে জাঙ্কফুড বাদ দিয়ে ঘরে তৈরী খাবার খান।
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন।
আপনার ধর্মানুসারে নিয়মিত প্রার্থনা করুন।
প্রতিদিন মেডিটেশন করুন। ধ্যানের শক্তি আপনার সাফল্যকে ত্বরান্বিত করবে। মনকে শান্ত রাখবে, আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে, সুস্থতা বাড়বে।
সিজনাল ফল খান। কারণ, যে মৌসুমে যে ফল পাওয়া যায়, সেই ফলে ঐ মৌসুমের রোগের প্রতিষেধক থাকে। সেটা আমলকি, পেয়ারা যাই হোক। শুধু আপেল, কমলা নয়। পেয়ারা, কুল, আমড়া, জাম্বুরা সহ অন্যান্য দেশী ফলই আমাদের জন্য যথেষ্ট।
ফলের জুস না খেয়ে তাজা ফল চিবিয়ে খান।
কোমল পানীয় পুরোপুরি বাদ দিন।
ভাজা পোড়া কম খান, খাবারে সবজির পরিমান বাড়ান।
প্রতিদিন ৫০ গ্রাম বাদাম খান।
রাগান্বিত না হয়ে সমস্যার সমাধান করে নিন।
প্রতিদিন কমপক্ষে বিশ জন মানুষকে ক্ষমা করুন, পরিপূর্ণ ক্ষমা।
No comments