ভাল রেজাল্টই জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি নয় ।
ইন্টারে এ + না পেয়ে এমনিতেই ছেলেটা ভয়ংকর রকমের ভেঙ্গে পড়লো। তারপর যখন
মার্কশিট পেয়ে দেখলো স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েটেই ভর্তি পরীক্ষা
দিতে পারবে না তখন যেন বেঁচে থেকেও ছেলেটা মরে গেলো। ঠিক করলো প্রয়োজন হলে
আবার ইন্টার দিবে। তবুও বুয়েটের CSE (Computer Science & Engineering) এ
তাঁর পড়া চাই-ই চাই।
প্রোগ্রামিং পাগল ছেলেটার ঠাঁই হলো এই দেশের আরেকটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু সাব্জেক্ট পেলো 'ম্যাথ'। ছেলেটা তবুও একের পর এক প্রোগ্রামিং কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করে ভালো করতে থাকলো। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ওর সিজিপিএ কমে যেতে থাকলো দিন কে দিন। আশেপাশের সবাই এগিয়ে যাচ্ছে। কেবল যেন ওই পিছিয়ে পড়া মানুষ। CSE পড়ার স্বপ্ন দেখা পাগল ছেলেটার অবস্থা বছরখানেকে এমন হলো যে তাকে বিশ্ব বিদ্যালয় থেকেই বের করে দিবে যে কোন সময়ে!
তারপর? দুর্দান্ত মেধাবী কিন্তু হতাশগ্রস্ত সেই ছেলেটা একদিন দেশের বাইরের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক করার স্কলারশিপ পেলো। সাবজেক্ট- CSE!
নতুন করে জীবনের মোড় ঘুরলো। দেখতে দেখতে স্নাতক শেষ করে ছেলেটা ইন্টার্নি করে ফেললো ফেসবুকে। দেশ থেকে ফিরে আবার গিয়ে কাজ শুরু করবে গুগলের সাথে। গল্পের মত লিখতে পারা এই স্ট্যাটাসের সেই ছেলেটা আমার বন্ধু। হতাশাবাদী বা খারাপ ফলাফল করা কাউকে উৎসাহ দিতে গেলে ও প্রায়ই আমাকে ধমক দিয়ে বলবে- "আশার বাণী দিবি না। যে হতাশায় থাকে সে নিজে বাদে সেই কষ্ট কেউ বুঝে না। জীবনে প্রাপ্তির গল্প সবাই জানে ব্যর্থতার কথা কেউ জানতে চায় না। কেউ মূল্য দেয় না। "
ছেলেটা নিজেই হয়ত জানে না, ও না চাইলেও ওর ব্যর্থতা এবং অর্জনের গল্প কতজন মানুষকে নতুন করে আশা দিতে পারে।
হাজার হাজার, শত শত এ+ পাওয়া সফলতার গল্প হয়ত আমরা কম বেশি সবাই জানি। কিন্তু এ+ না পাওয়া ব্যর্থ কারও গল্প হয়ত আমরা জানতে চাই না। এ+ না পেলেও যে আসলে জীবনে অনেক কিছুই হওয়া যায়, করা যায় সেটা মনে হয় আমরা প্রায়শই ভুলে যাই।
জীবনটাকে একটা গ্রেড বা একটা মার্ক শিটে আটকে রাখার কোন মানে নেই...
জীবন মানে শুধুই এ+ না, জীবন মানে নিজের স্বপ্নটাকে সত্য করার জন্য যে কোন মূল্যে ছুটে চলা, দৌড়ে যাওয়া, উড়তে থাকা। তৃষ্ণার্তের মত আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখা...
প্রোগ্রামিং পাগল ছেলেটার ঠাঁই হলো এই দেশের আরেকটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু সাব্জেক্ট পেলো 'ম্যাথ'। ছেলেটা তবুও একের পর এক প্রোগ্রামিং কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করে ভালো করতে থাকলো। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ওর সিজিপিএ কমে যেতে থাকলো দিন কে দিন। আশেপাশের সবাই এগিয়ে যাচ্ছে। কেবল যেন ওই পিছিয়ে পড়া মানুষ। CSE পড়ার স্বপ্ন দেখা পাগল ছেলেটার অবস্থা বছরখানেকে এমন হলো যে তাকে বিশ্ব বিদ্যালয় থেকেই বের করে দিবে যে কোন সময়ে!
তারপর? দুর্দান্ত মেধাবী কিন্তু হতাশগ্রস্ত সেই ছেলেটা একদিন দেশের বাইরের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক করার স্কলারশিপ পেলো। সাবজেক্ট- CSE!
নতুন করে জীবনের মোড় ঘুরলো। দেখতে দেখতে স্নাতক শেষ করে ছেলেটা ইন্টার্নি করে ফেললো ফেসবুকে। দেশ থেকে ফিরে আবার গিয়ে কাজ শুরু করবে গুগলের সাথে। গল্পের মত লিখতে পারা এই স্ট্যাটাসের সেই ছেলেটা আমার বন্ধু। হতাশাবাদী বা খারাপ ফলাফল করা কাউকে উৎসাহ দিতে গেলে ও প্রায়ই আমাকে ধমক দিয়ে বলবে- "আশার বাণী দিবি না। যে হতাশায় থাকে সে নিজে বাদে সেই কষ্ট কেউ বুঝে না। জীবনে প্রাপ্তির গল্প সবাই জানে ব্যর্থতার কথা কেউ জানতে চায় না। কেউ মূল্য দেয় না। "
ছেলেটা নিজেই হয়ত জানে না, ও না চাইলেও ওর ব্যর্থতা এবং অর্জনের গল্প কতজন মানুষকে নতুন করে আশা দিতে পারে।
হাজার হাজার, শত শত এ+ পাওয়া সফলতার গল্প হয়ত আমরা কম বেশি সবাই জানি। কিন্তু এ+ না পাওয়া ব্যর্থ কারও গল্প হয়ত আমরা জানতে চাই না। এ+ না পেলেও যে আসলে জীবনে অনেক কিছুই হওয়া যায়, করা যায় সেটা মনে হয় আমরা প্রায়শই ভুলে যাই।
জীবনটাকে একটা গ্রেড বা একটা মার্ক শিটে আটকে রাখার কোন মানে নেই...
জীবন মানে শুধুই এ+ না, জীবন মানে নিজের স্বপ্নটাকে সত্য করার জন্য যে কোন মূল্যে ছুটে চলা, দৌড়ে যাওয়া, উড়তে থাকা। তৃষ্ণার্তের মত আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখা...
No comments