Header Ads

Header ADS

সচেতন হোন সাইবার ক্রাইম থেকে !!!


তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ । আমারা স্বপ্ন দেখছি আগামীর, হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ । তাইতো স্বপ্নের সাথে সাথে আমাদের পথচলা । কিন্তু মাঝে মাঝে থমকে যাই ,যখন দেখি ডিজিটাল স্বপ্নের পাশাপাশি ডিজিটাল হচ্ছে অপরাধের ধরন । সাম্প্রতিক সময়ে চোখে পড়ার মত অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তিতে । সব ছেয়ে বেশি ঘটছে সোসাল-মিডিয়ার মাধ্যমে । কেননা বর্তমানে বলা যায় আমাদের দেশে সোসাল-মিডিয়ার জাগরণ চলছে । আর তাইতো ফেইজবুকের মধ্য দিয়েই বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে ।  ফেইজবুকের এসব ক্রাইম দেখেই, আজকে বিবেকের তাড়নায় কিছু লিখতে বসলাম ।
আমাদের আশে-পাশের ছোট ভাই-বোনরা কি নিজেদের অজান্তেই সাইবার ক্রাইমে যুক্ত হচ্ছে নাকি জেনে শুনে ? তাইতো আমাদের প্রয়োজন গন-সচেতনা । জানা প্রয়োজন  সাইবার ক্রাইম কি ? সাইবার ক্রাইম কোনগুলো ? সাইবার ক্রাইম করলে সাজা কি ?
সাইবার ক্রাইম বা অপরাধ’ বলতে মূলত ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধকে বুঝানো হয়
Cyber Crime By S A Developers

সাইবার ক্রাইমের ধরনঃ
সাইবার পর্ণোগ্রাফ,
হ্যাকিং,
স্প্যাম,
কারো নামে সোশাল মিডিয়াতে/ ওয়েবসাইটে বা ব্লগে মিথ্যা প্রচারণা চালানো,
 ক্র্যাকিং - ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি,
 লগ ইন অ্যাকসেস চুরি
সাইবার ক্রাইমের সাজাঃ
তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০০৬-এর ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারে বা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহলে তার এই কাজ অপরাধ বলে গণ্য হবে। কোনো ব্যক্তি এ ধরনের অপরাধ করলে তিনি অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। যারা সাইবার ক্রাইম করে তাদেরকে বলা হয় প্রযুক্তি সন্ত্রাসী।

তাই সবার প্রতি অনুরোধ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন হোন আর অপরকে সচেতন করুন ।



No comments

Powered by Blogger.